বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া গেছে। যা থেকে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ ব্যারেল তেল উৎপাদন হবে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই এলাকায় প্রায় ১৫-২০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল মজুত থাকতে পারে। তাই এই তেল উত্তোলনে সরাসরি তেল কূপ খননের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।
এসজিএফএলের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, নতুন এই কূপ খননের লক্ষ্যে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫৬ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে ‘সিলেট-১২ নম্বর কূপ (তেল কূপ) খনন’ নামে একটি প্রকল্প প্রস্তাব বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আজ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত হলে এসজিএফএল অক্টোবর ২০২৪ থেকে জুন ২০২৬ পর্যন্ত মেয়াদের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বদরুল ইসলাম বলেন, ভূতাত্ত্বিক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশ গ্যাসের জন্য সম্ভাবনাময়। গ্যাসের পাশাপাশি তেলেরও সম্ভাবনা আছে। তবে গ্যাসের তুলনায় তেলের স্তর ছোট। তিনি জানান, ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদিত হয়েছিল সিলেটে আবিষ্কৃত দেশের প্রথম তেল কূপ থেকে। বর্তমানে বাংলাদেশে কোনো সক্রিয় তেল কূপ নেই। অথচ দেশে বর্তমানে বছরে তেলের চাহিদা প্রায় ৭২ লাখ টন। সিলেটে কূপ খনন হলে এটা হবে বিরাট সম্ভাবনার।
অধ্যাপক বদরুল বলেন, তবে তেলক্ষেত্র শুধু খনন করলেই হবে না। যথাযথ প্রক্রিয়ায় উত্তোলন করা জরুরি। আন্তর্র্জাতিকমানের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা না হলে তেল কূপের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনির অনেক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
কূপ খনন বিশেষজ্ঞদের মতে, এসজিএফএলের ১০নং কূপের দেড় হাজার মিটার নিচের স্তরে মিলেছে ‘ক্রুড’ বা অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুত। বাকি সব স্তর শুধু গ্যাসের। ‘ড্রিল স্টিম টেস্ট’ বা ‘ডিএসটি’ চলাকালে কূপটিতে ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, গ্যাসের পর আমরা তেলের কূপে হাত দিচ্ছি। এখানে আশানুরূপ তেল পাওয়া গেলে আমদানি নির্ভরতা কমবে। সত্র যুগান্তর
সম্পাদকীয় কার্যালয়
দৈনিক বাংলা মোড়
ঢাকা-১০০০
Copyright © 2025 Biplob Barta BD. All rights reserved.