বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোকাররম কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের আজিম উদ্দিন শিকদার পাড়ার মৃত জাফর আহমদের ছেলে এবং ওই পরিষদের নারী সদস্য রহিমা বেগমের স্বামী।
উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম বলেন, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে সোনাদিয়ার পশ্চিম অংশে জলদস্যুদের গুলিতে মোকাররম মাঝি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও কয়েকজন জেলে। নিষেধাজ্ঞা শেষে সম্প্রতি একাধিক মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যান মোকাররম।
আরো পড়ুন মানুষ নতুন করে চিন্তার স্বাধীনতা পেয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা
দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলার থেকে ফিরে আসা জেলেদের বরাতে স্থানীয় বাসিন্দা আবু সাইয়িদ বলেন, মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে মাছ ধরতে গেলে মোকাররম মাঝির ট্রলারটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে। এ সময় দস্যুরা ট্রলারটি লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। একপর্যায়ে মোকাররম মাঝি গুলিবিদ্ধ হয়ে সাগরে পড়ে যান। পরে অন্য জেলেরা তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়ার মগনামা ঘাটে নিয়ে আসে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে নেওয়ার পথে সমুদ্রের বাঁশখালী পয়েন্টে তার অবস্থার অবনতি হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মহেশখালীর এক জেলের গুলিবিদ্ধ মরদেহ আছে। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল সংগ্রহ করেছে।
সম্পাদকীয় কার্যালয়
দৈনিক বাংলা মোড়
ঢাকা-১০০০
Copyright © 2025 Biplob Barta BD. All rights reserved.