ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর সমর্থনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিনিময়ে রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে বলে সিউলের নিরাপত্তা উপদেষ্টা দাবি করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার অভিযোগ, পারমাণবিক অস্ত্রধারী উত্তর কোরিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়াকে সহায়তা করার জন্য ১০ হাজারের বেশি সেনাসদস্য পাঠিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিম জং উন তার সেনাসদস্যদের উন্নত প্রযুক্তি এবং যুদ্ধের অভিজ্ঞতা অর্জনে আগ্রহী।
সেনাসদস্যদের জন্য পিয়ংইয়ং কী পেয়েছে বলে সিউল মনে করে, এমন প্রশ্নের জবাবে দেশটির শীর্ষ নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিন ওন-সিক বলেন, 'পিয়ংইয়ং-এর দুর্বল বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সরঞ্জাম ও বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উত্তর কোরিয়াকে সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।'
এর আগে বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, সেনাসদস্যদের বিনিময়ে উত্তর কোরিয়া সম্ভবত নজরদারি স্যাটেলাইট থেকে শুরু করে সাবমেরিন পর্যন্ত সামরিক প্রযুক্তি অর্জন করতে চায়।
গত জুনে ক্রেমলিন প্রধানের সফরের সময় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
এটি উভয় রাষ্ট্রকে অন্যের ওপর আক্রমণের ক্ষেত্রে 'অবিলম্বে' সামরিক সহায়তা প্রদান এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সহযোগিতা করতে বাধ্য।
পুতিন এই চুক্তিকে 'যুগান্তকারী দলিল' বলে অভিহিত করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পিয়ংইয়ং ইউক্রেনকে পররাষ্ট্রনীতি পুনর্বিন্যাসের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, সেনাসদস্যদের পাঠিয়ে উত্তর কোরিয়া অস্ত্র, সামরিক সহায়তা এবং শ্রম সরবরাহকারী হিসেবে রাশিয়ার যুদ্ধ অর্থনীতিতে নিজের অবস্থান পোক্ত করছে- সম্ভবত এ ক্ষেত্রে তারা তাদের ঐতিহ্যবাহী মিত্র, প্রতিবেশী এবং প্রধান বাণিজ্য অংশীদার চীনকে উপেক্ষা করছে।
রাশিয়া তার তেল ও গ্যাসের মতো বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদে প্রবেশাধিকার দিতে পারে উত্তর কোরিয়াকে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোয়ে সন হুই সম্প্রতি মস্কো সফর করে বলেন, বিজয় না আসা পর্যন্ত তার দেশ দৃঢ়ভাবে রাশিয়ার কমরেডদের পাশে থাকবে।
সূত্র : ভিওএ
সম্পাদকীয় কার্যালয়
দৈনিক বাংলা মোড়
ঢাকা-১০০০
Copyright © 2025 Biplob Barta BD. All rights reserved.