ইউএসএএফ জানিয়েছে, ড্রোনগুলোকে শত্রু হিসেবে গণ্য করা হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে তারা অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে ইউএসএএফ বলেছে, ঘাঁটিগুলোর নিরাপত্তা রক্ষার অধিকার তারা সংরক্ষণ করে। ইউরোপে ইউএসএএফ-এর এক মুখপাত্র বলেন, "আরএএফ লেকেনহেথ, আরএএফ মিলডেনহল এবং আরএএফ ফেল্টওয়েলের আশপাশে ছোট মানববিহীন বিমান ব্যবস্থা (ইউএএস) দেখা গেছে। ড্রোনগুলোর সংখ্যা ও আকার পরিবর্তনশীল এবং সেগুলো বিভিন্ন গঠন ও কনফিগারেশনের হয়ে থাকতে পারে।
আরো পড়ুন অবরুদ্ধ গাজা ইসরায়েলি হামলায় আরও ১২০ ফিলিস্তিনি নিহত
তিনি আরও বলেন, "ইউএএসগুলোকে সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। ঘাঁটির কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, এগুলোর উপস্থিতি ঘাঁটির বাসিন্দা কিংবা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর কোনো প্রভাব ফেলেনি।" তবে তিনি জানান, "অপারেশনাল নিরাপত্তার স্বার্থে, সুরক্ষা ব্যবস্থার বিস্তারিত নিয়ে আমরা মন্তব্য করব না। কিন্তু ঘাঁটিগুলোর নিরাপত্তা রক্ষার অধিকার আমরা বজায় রাখি। আমরা আমাদের আকাশসীমা পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছি এবং ঘাঁটিগুলোর কর্মী, সম্পদ ও সুবিধার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং মিশন অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।
আরএএফ মিলডেনহল যুক্তরাষ্ট্রের ১০০তম এয়ার রিফুয়েলিং উইং-এর ঘাঁটি। আরএএফ লেকেনহেথ ইউএসএএফ-এর এফ-৩৫এ এবং এফ-১৫ই যুদ্ধবিমানের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে, আরএএফ ফেল্টওয়েল মূলত লজিস্টিকস এবং সামরিক কর্মীদের আবাসন সংক্রান্ত কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, "আমরা যেকোনো হুমকিকে গুরুত্ব সহকারে নেই এবং প্রতিরক্ষা সাইটগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখি। এক্ষেত্রে ড্রোন প্রতিরোধী প্রযুক্তিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিস্তারিত নিয়ে আমরা আর কোনো মন্তব্য করব না।
সম্পাদকীয় কার্যালয়
দৈনিক বাংলা মোড়
ঢাকা-১০০০
Copyright © 2025 Biplob Barta BD. All rights reserved.